পুলিশি হেফাজতে কিশোরের মৃত‍্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ বিজেপির

31st October 2020 1:46 pm বাঁকুড়া
পুলিশি হেফাজতে কিশোরের মৃত‍্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ বিজেপির


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বাঁকুড়া ) : বীরভূমের মল্লারপুরে পুলিশী হেফাজতে থাকা কালীন এক কিশোরের মৃত্যুর রেশ এসে পৌঁছালো বাঁকুড়াতেও। শনিবার জেলা বিজেপি যুব মোর্চার তরফে বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর শহরের কেরানীবাঁধে রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শণ ও পথ অবরোধ করা হয়। দিনের ব্যস্ততম সময়ে এই অবরোধে আটকে পড়ে অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহি যানবাহন।  প্রসঙ্গত,  বীরভূমের মল্লারপুর থানা এলাকার একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ বছর পনেরর এক কিশোরকে জুভেনাইল ধারায় গ্রেফতার করে। ঐ দিন রাতেই শৌচাগারে যায় ওই কিশোর। তার বেশ কিছুক্ষণ পর  শৌচাগার থেকে ঐ কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
এই ঘটনার পরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশী  হেফাজতে কিশোরের মৃত্যুর ঘিরে ধুন্ধুমার খবর চাউর হতেই শুক্রবার ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় মল্লারপুরে। পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগে থানা ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপির তরফে মৃত ঐ কিশোরকে তাদের 'যুব মোর্চার কার্যকর্তা' বলেও দাবি করা হয়।    এদিন পথ অবরোধে নেতৃত্ব দিয়ে বাঁকুড়া জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, পুলিশ প্রশাসন যেভাবে একজন দলিত কিশোরকে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে তা সংবিধান বিরোধী। ঐ কিশোর ও তার পরিবার শুধুমাত্র বিজেপি সমর্থক হওয়ার কারণেই পুলিশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করে তিনি আরো বলেন,  এই ঘটনার প্রতিবাদ সারা রাজ্যের মানুষ করছেন। এই ঘটনায় যুক্ত প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে বিজেপি যুব মোর্চা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারী দেন।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।